Sunday, August 23, 2015

যোগ-ব্যায়াম



     শরীর সুস্থ না থাকলে কোনো কাজে মন বসে না । প্রাচীনকালে মুনিঋষিগণ ভগবানের আরাধনা করতে গিয়ে দেখলেন যে – শরীর নীরোগ ও কর্মক্ষম করার প্রয়োজন । এর জন্য তাঁরা কতকগুলো আসন ও মুদ্রা অভ্যাস করতে আরম্ভ  করলেন । শরীরের মাংসপেশীর পুষ্টি সাধনের জন্য নানা রকম ব্যায়াম অভ্যাস করা যায় – যেমন, খালিহাতে ব্যায়াম, বারবেল নিয়ে ব্যায়াম, প্যারালাল বার, রিং, কুস্তি ইত্যাদি । কিন্তু যৌগিক ব্যায়াম দেহের অভ্যন্তরের স্নায়ু মন্ডলী, গ্রন্থি ও অন্যান্য যন্ত্রগুলো যে রকম পুষ্ট ও সবল করতে পারে, অন্য কোনো ব্যায়াম সে রকম করতে পারে না । স্নায়ুমন্ডলী আমাদের এই দেহযন্ত্রকে চালিত করে । মস্তিস্ক স্নায়ুমন্ডলীর কেন্দ্রস্থল । এই স্থান থেকে বিভিন্ন স্নায়ুর সাহায্যে যে আদেশ প্রেরিত হয় – তা মাংসপেশী ও বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে চালিত করে । আজও দেশী বা বিদেশী এমন কোনও ব্যায়াম পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি, যা মস্তিষ্কের মধ্যে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত করে মস্তিষ্ককে সবল ও অধিক কর্মক্ষম করতে পারে । একমাত্র যোগ-ব্যায়াম তা করতে পারে । সর্বাংগাসন ও মৎস্যাসন এন্ডোক্রীন গ্রন্থিসমূহ যথা, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড ইত্যাদি গ্রন্থিগুলিকে রক্তস্নাত করে এদের যেমন উজ্জীবিত করে, অন্য কোনো ব্যায়াম সে রকম করতে পারে না । ............                            



যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসকারী জ্ঞাতব্য বিষয়
     ১। যোগ-ব্যায়াম ৫ বছরের ছেলেমেয়ে থেকে  ৮০/ ৯০ বছরের স্ত্রী পুরুষ পর্যন্ত সকলেই অভ্যাস করতে পারে । তবে বয়স এবং স্ত্রী-পুরুষ ভেদে ভিন্ন যোগ-ব্যায়াম ও তার মাত্রা ঠিক করতে হয় ।
     ২। ৫ থেকে  ৮/১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছোট ছেলেমেয়েরা যোগ-ব্যায়াম অর্ধমাত্রায় অভ্যাস করবে, অর্থাৎ যে ব্যায়াম প্রতিবারে  ৩০ সেকেন্ড করে  ৪ বার অভ্যাস করতে বলা হয়েছে, প্রথম প্রথম সেগুলি প্রতিবারে  ১৫ সেকেন্ড  করে  ২ বার অভ্যাস করবে । পরে বয়স ও সামর্থ বৃদ্ধির সাথে সাথে আসন অভ্যাসের সময় বাড়িয়ে প্রতিবারে  ৩০ সেঃ করে  ৪ বার অভ্যাস করবে । প্রতি আসন অভ্যাসের পর  ১০/১৫ সেঃ শবাসন অবশ্যই অভ্যাস করবে । মনে রাখতে হবে, দিনে একত্রে  ৭/৮ টির বেশি যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস করার প্রয়োজন হয় না ।
     ৩। আসন অভ্যাসরত অবস্থায় মনকে শান্ত রাখতে হবে । ধীরে ধীরে অনেক সময় ধরে দম নিতে ও ছাড়তে হবে । কোন অবস্থাতে দম বন্ধ রাখা যাবে না । এ অবস্থায় মনকে স্থির রেখে ব্যায়ামের উপকারীতা উপলব্ধি করতে হবে ।
     অনেক দিন অভ্যাসের ফলে অনেকক্ষন একাসনে থাকার ক্ষমতা হলে আসন অভ্যাসকারীরা আসনটি পর পর  ৪ বার অভ্যাস না করে  ৪/৫ মিনিট ধরে একবার অভ্যাস করে  ১/২ মিনিট শবাসন অভ্যাসের পর অন্য আসন অভ্যাস করতে পারে । গৃহীদের  কোন আসনই এককালে  ৫ মিনিটের বেশী অভ্যাস করা উচিত নয় ।
     ৫। আসন অভ্যাসকারী আসন অভ্যাসকালে যে আসন অভ্যাস করছে তার উপকারিতা সম্বন্ধে চিন্তা করা এবং নিজ শরীর ও মনের উপর তার প্রভাব উপলব্ধি করতে চেষ্টা করা উচিত ।
     ৬।  যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই । অভ্যাসকারী নিজ সুবিধা মত সকালে স্নানের আগে, সন্ধ্যায় বা রাত্রে খাবার কিছু আগে, আসন অভ্যাস করতে পারে । তবে সকালে ছাড়া অন্য কোন সময়ে খালি পেটে ব্যায়াম অভ্যাস করতে নেই । অন্য সময়ে ক্ষুদার্ত অবস্থায় বা ভরা পেটে ব্যায়াম অভ্যাস করা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনিষ্টকর । হাল্কা কিছু খাবার আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে, বা ভরা পেটে  খাবার  ৪/৫ ঘন্টা বাদে, যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসের প্রশস্ত সময় । কেবল ব্জ্রাসনই একটি মাত্র আসন যা পূর্ণ আহারের পর অভ্যাস করা স্বাস্থ্যকর । যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসের আধ ঘন্টা পর আহার করা যায় ।
     ৭। কম্বলের উপর বা পাতলা গদির উপর আসন অভ্যাস করা বিধেয় ।
     ৮। ভিতরে কৌপিন বা জাঙ্গিয়া পরে উপরে আন্ডারওয়ার বা হাল্কা হাফপ্যান্ট পরে খোলা জায়গায় সাধারণতঃ যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে ।
     ৯। প্রতি আসন অভ্যাসের পর  ২০/৩০ সেঃ শবাসন অভ্যাস সাধারণ নিয়ম । তবে শীর্ষাসন অভ্যাসের পর শবাসন অভ্যাস করতে হয় না কারণ শীর্ষাসন অভ্যাসকালে মাথায় যে রক্ত ওঠে শীর্ষাসনের পর শবাসন অভ্যাসে তা নামতে দেরী হওয়ায় মাথায় ভার বোধ হয় ।
     ১০। যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসের আগে কয়েকটি খালি হাতে ব্যায়াম (ওয়ার্মিং আপ ) করা অধিক স্বাস্থ্যকর এবং দ্রুততর ফল লাভের সহায়ক ।
     ১১। খালিহাতে ব্যায়াম অভ্যাসের পর আসন অভ্যাসের আগে  ৩/৪ মিনিট শবাসনের বিশেষ প্রয়োজন । শবাসন অভ্যাস কালে আমরা যে পরিমান শারীরিক ও মানসিক শিথিলতা অর্জন করি  তা বজায় রেখেই আসন অভ্যাস করা উচিত । আমরা সাধারণত মিনিটে   ১৬/১৮ বার শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি । শবাসন করার সময় এর গতি কমিয়ে  ১০/১২ বার করার চেষ্টা করতে হবে । এর সুফল অনেক ।
     ১২। কেবল রোগীরা যারা রোগারোগ্যের জন্য যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস করবে, তারা প্রতি আসনের  শেষে প্রয়োজন মত  ২০/৩০ সেঃ শবাসন অভ্যাস করবে ।
     ১৩। যোগ-মুদ্রা ব্যাতীত অন্য কোন মুদ্রা  ১০/১২ বছরের কম বয়স্ক ছেলেদের এবং ঋতু প্রতিষ্ঠিত হয়নি এমন মেয়েদের অভ্যাস করা উচিত নয় ।
     ১৪। আসন অভ্যাসকারীর প্রদত্ত আসন ও মুদ্রার গুণাগুণ বিবেচনা করে নিজেদের প্রয়োজন মত  ৭/৮ টি আসন ও মুদ্রা বেছে নিয়ে অভ্যাস করা উচিত ।
     ১৫যোগ-ব্যায়াম প্রদত্ত নির্দেশ মত শুদ্ধভাবে অভ্যাস করতে চেষ্টা করা উচিত । তবে প্রথম অভ্যাসকারীর পক্ষে ঠিক শুদ্ধভাবে সকল আসন অভ্যাস করা সম্ভব হয় না । প্রথম অবস্থায় যদি কোন ভুল হয় তাহলে পুনঃপুনঃ চেষ্টার দ্বারা শুদ্ধভাবে ইহা অভ্যাস করার চেষ্টা করতে হবে । আসন অভ্যাসে সামান্য ভুল হলেও কোন ক্ষতি হয় না কারণ স্থিরভাবে সুখে অবস্থানই আসন । সুতরাং কোন আসনই ভুল একথা বলা যায় না, তবে দেখতে হবে – সেই অবস্থানটি ধীর এবং সুখকর কি না ।
     ১৬। অনিদ্রায় এবং স্বপ্নদোষে শোবার আগে গোমুখাসন অভ্যাস বিশেষ ফলপ্রদ । এ সময় কৌপিন বা জাঙ্গিয়া পরার প্রয়োজন হয় না ।
     ১৭। মেয়েদের ঋতুকালে  ৪/৫ দিন ব্যায়াম অভ্যাস নিষেধ । এছাড়া সমস্ত ব্যায়াম অভ্যাসকারীর সপ্তাহে  ৬ দিন ব্যায়াম অভ্যাসের পর একদিন বন্ধ রাখা স্বাস্থ্যকর ।
     ১৮। নারী গর্ভ অবস্থায়  ৩ মাস পর্যন্ত যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারে । প্রসবান্তে  ৩ মাস পরে আবার যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস আরম্ভ করলে প্রসবান্তে থলথলে ঝোলা পেট স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হয় । দেহের সঠিক গঠন আবার ফিরে আসে এতে কোন সন্ধেহ নেই ।   
     ১৯। যোগ-ব্যায়াম শেষে মিছরি, চিনি বা আখের গুড়ের  সরবৎ পাতিলেবু ও লবণ সহযোগে পান করা স্বাস্থ্যপ্রদ ।
     ২০। কখন কোন আসন করা উচিত নয় – তা নিম্নে প্রদত্ত হল –
          ক) কান পাকলে, চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হলে ও রক্তের চাপ বৃদ্ধিতে  শীর্ষাসন করা উচিত নয় ।
          খ) প্লীহা বা যকৃত বৃদ্ধিতে ভুজংগাসন, শল্ভাসন, পশ্চিমোত্তানাসনধনুরাসন নিষিদ্ধ ।
          গ) পুরাতন সর্দি বা নাসিকার পীড়ায় সর্বাঙ্গাসন সতর্কতার সাথে অভ্যাস করা উচিত ।
          ঘ) এপেন্ডিসাইটিসহার্নিয়ায় পশ্চিমোত্তানাসন অভ্যাস করা উচিত নয় ।
          ঙ) রক্তের চাপ বেশী হলে  খালিহাতের ব্যায়াম, শবাসনশীতলী প্রাণায়াম করতে হবে । অন্য কোন আসন  উচিত নয় । 













Announcing the 2015 Search Engine Ranking Factors Study

We're excited to announce the results of Moz's biannual Search Engine Ranking Correlation Study and Expert Survey, a.k.a. Ranking Factors.
Moz's Ranking Factors study helps identify which attributes of pages and sites have the strongest association with ranking highly in Google. The study consists of two parts: a survey of professional SEOs and a large correlation study.
This year, with the help of Moz's data scientist.  new data partners, and over 150 search marketing professionals, we were able to study more data points than in any year past. All together, we measured over 170 correlations and collected over 15,000 data points from our panel of SEO experts.
Ready to dig in?

Sunday, August 16, 2015

Web Development




Search Engine Optimization
The benefits of search engine marketing
Search engine  marketing (or SEM) has become a significant growth area for Internet businesses in the past few years, due to a number of clear benefits that this form of marketing provides, such as:
Highly targeted – search engine marketing is one of the best forms of direct marketing, providing a technique that can be focused on the exact customer base and placing the business in front of these prospects at a time when they are actively searching for the product or service.
Responsive – because a website can be targeted at a user when they are looking to buy, then the response rates from this activity can be very high, although this can also depend upon the quality of the website in converting visitors to sales or enquiries.
Low entry costs – it is possible to start a search marketing campaign on a very low budget to test the market or to generate initial business for a low fee. Some level of search engine marketing should be built into the development costs of any new business website to make it work as effectively as possible. Used carefully, small companies can also easily compete alongside market leaders in many business sectors.
Quick to implement – although the optimisation of a website can take months to have a significant effect, setting up a pay-per-click advertising campaign can be done within a day and will start to attract website visits within hours.
Flexible – pay-per-click advertising campaigns can be adjusted and developed in response to results, providing a highly flexible form of advertising.
Measurable – most importantly, search engine marketing campaigns can provide extensive data on the responses being achieved, allowing a high level of analysis to support and develop the campaign.
Cost effective – any marketing campaign should generate a positive return on investment and search engine marketing has proven time and again to outperform most other forms of advertising, both online and offline.
Although these benefits are clear and can be demonstrated quite quickly, it is also true that as the search engine marketing sector becomes more
قلب فيسي مرهي