পদ্মাসন
এই আসন অভ্যাসকালে পা দুটিকে এমনভাবে একটির
উপর অপরটিকে স্থাপন করতে হয়, যাতে পায়ের অবস্থান পদ্মের পাঁপড়ির মত দেখায় – মনে
হয়, এই জন্যই এই আসনকে পদ্মাসন বলে । এই আসন নয় রকম ১) মুক্ত পদ্মাসন, ২) বীরাসন, ৩) উত্থিত
পদ্মাসন, ৪) বকাসন, ৫) বদ্ধ পদ্মাসন, ৬) কুক্কুটাসন, ৭) অর্ধবদ্ধ পদ্মাসন, ৮)
সিদ্ধাসন, ৯) পর্বতাসন ।
পদ্মাসন বা মুক্তপদ্মাসন
প্রণালীঃ পা দুটি সামনে ছড়িয়ে সোজা
হয়ে ব’স । এইবার ডান পা হাটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ জানুর ওপর রাখ – যাতে ডান পায়ের
গোড়ালি তলপেটে বাঁ দিকের মূলাধার (লিঙ্গমূলের কিঞ্চিত উপরে) স্পর্শ করে । এখন বাঁ
পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান পায়ের উপর এমন ভাবে রাখ যেন বাঁ পায়ের গোড়ালি তলপেটে
ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে ।ীই অবস্থায় যাতে হাঁটু ভূমি থেকে উঠে না পড়ে সেদিকে
লক্ষ্য রাখ । এই আসনে অবস্থানকালে শির, গ্রীবা ও মেরুদন্ড সোজা ও সরল ভাবে থাকবে ।
হাত দুটি ছবির মত কোলের উপর রাখলে ভাল হয় । এই অবস্থায় ৩০ সেঃ থাকার পর পা ছড়িয়ে
দাও এবং পা পরিবর্তন করে ঠিক আগের মত পদ্মাসন অভ্যাস কর । ৩০ সেঃ করে ৪ বার
অভ্যাসের পর ১৫ সেঃ শবাসনে বিশ্রাম কর ।
উপকারিতাঃ এই আসন অভ্যাসে পায়েরবাত ইত্যাদি দূর হয়। পদ্মাসন একটি শারীরিক অবস্থান,যাতে মেরুদন্ড বক্র হয় না । মেরুদন্ডের কর্মক্ষমতার উপরই আমাদের যৌবন ও
স্বাস্থ্য নির্ভর করে । আমরা একে যত অবক্র ও নমনীয় রাখতে পারব, দেহের অভ্যন্তরের
যন্ত্রগুলি তত ভালভাবে কাজ করার দরুন যৌবন তত অটুট থাকবে । কাজেই যাদের বসে
কাজকর্ম করতে হয় (ছাত্র,শিক্ষক,কেরানী) তাদের সমস্ত দিনের মধ্যে অবসর সময়ে অন্ততঃ
প্রতিবারে ২ বার করে ৪ বার এই আসন অভ্যাস করা বিশেষ ফলপ্রদ । এই আসনে একাগ্রতা
বাড়ে এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় ।
No comments:
Post a Comment