পদ্মাসন
এই আসন অভ্যাসকালে পা দুটিকে এমনভাবে একটির
উপর অপরটিকে স্থাপন করতে হয়, যাতে পায়ের অবস্থান পদ্মের পাঁপড়ির মত দেখায় – মনে
হয়, এই জন্যই এই আসনকে পদ্মাসন বলে । এই আসন নয় রকম ১) মুক্ত পদ্মাসন, ২) বীরাসন, ৩) উত্থিত
পদ্মাসন, ৪) বকাসন, ৫) বদ্ধ পদ্মাসন, ৬) কুক্কুটাসন, ৭) অর্ধবদ্ধ পদ্মাসন, ৮)
সিদ্ধাসন, ৯) পর্বতাসন ।
পদ্মাসন বা মুক্তপদ্মাসন

উপকারিতাঃ এই আসন অভ্যাসে পায়েরবাত ইত্যাদি দূর হয়। পদ্মাসন একটি শারীরিক অবস্থান,যাতে মেরুদন্ড বক্র হয় না । মেরুদন্ডের কর্মক্ষমতার উপরই আমাদের যৌবন ও
স্বাস্থ্য নির্ভর করে । আমরা একে যত অবক্র ও নমনীয় রাখতে পারব, দেহের অভ্যন্তরের
যন্ত্রগুলি তত ভালভাবে কাজ করার দরুন যৌবন তত অটুট থাকবে । কাজেই যাদের বসে
কাজকর্ম করতে হয় (ছাত্র,শিক্ষক,কেরানী) তাদের সমস্ত দিনের মধ্যে অবসর সময়ে অন্ততঃ
প্রতিবারে ২ বার করে ৪ বার এই আসন অভ্যাস করা বিশেষ ফলপ্রদ । এই আসনে একাগ্রতা
বাড়ে এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা যায় ।
No comments:
Post a Comment