যোগ-ব্যায়াম কী
শরীর সুস্থ না থাকলে কোনো
কাজে মন বসে না । প্রাচীনকালে মুনিঋষিগণ ভগবানের আরাধনা করতে গিয়ে দেখলেন যে –
শরীর নীরোগ ও কর্মক্ষম করার প্রয়োজন । এর জন্য তাঁরা কতকগুলো আসন ও মুদ্রা অভ্যাস
করতে আরম্ভ করলেন । শরীরের মাংসপেশীর
পুষ্টি সাধনের জন্য নানা রকম ব্যায়াম অভ্যাস করা যায় – যেমন, খালিহাতে ব্যায়াম,
বারবেল নিয়ে ব্যায়াম, প্যারালাল বার, রিং, কুস্তি ইত্যাদি । কিন্তু যৌগিক ব্যায়াম
দেহের অভ্যন্তরের স্নায়ু মন্ডলী, গ্রন্থি ও অন্যান্য যন্ত্রগুলো যে রকম পুষ্ট ও
সবল করতে পারে, অন্য কোনো ব্যায়াম সে রকম করতে পারে না । স্নায়ুমন্ডলী আমাদের এই
দেহযন্ত্রকে চালিত করে । মস্তিস্ক স্নায়ুমন্ডলীর কেন্দ্রস্থল । এই স্থান থেকে
বিভিন্ন স্নায়ুর সাহায্যে যে আদেশ প্রেরিত হয় – তা মাংসপেশী ও বিভিন্ন অঙ্গ
প্রত্যঙ্গকে চালিত করে । আজও দেশী বা বিদেশী এমন কোনও ব্যায়াম পদ্ধতি আবিষ্কৃত
হয়নি, যা মস্তিষ্কের মধ্যে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত করে মস্তিষ্ককে সবল ও অধিক
কর্মক্ষম করতে পারে । একমাত্র যোগ-ব্যায়াম তা করতে পারে । সর্বাংগাসন ও মৎস্যাসন
এন্ডোক্রীন গ্রন্থিসমূহ যথা, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড ইত্যাদি গ্রন্থিগুলিকে
রক্তস্নাত করে এদের যেমন উজ্জীবিত করে, অন্য কোনো ব্যায়াম সে রকম করতে পারে না ।
nice
ReplyDelete