Saturday, January 27, 2018

শবাসন






শবাসন


     এই আসন অবস্থানকালে শব অর্থাৎ মড়ার মত নিস্পন্দভাবে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হয় । তাই এই আসনের নাম শবাসন । প্রণালীঃ  চিৎ হয়ে শুয়ে পড় । পা দু’টি লম্বা করে দাও যেন দু’পায়ের মাঝে এক থেকে দেড় ফুট ফাঁক থাকে । পায়ের গোড়ালি ভিতর দিকে এবং আঙুল বাইরের দিকে রাখ । হাত দু’টি লম্বালম্বি শরীরের দু’পাশে রাখ । হাতের চেটো উপর দিকে রেখে শরীরটা যতটা পার আলগা ( পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে মাথার চুল পর্যন্ত শরীরের সমস্ত মাংসপেশী ও স্নায়ু শিথিল করে দাও যেন বিন্দু মাত্র শক্ত হয়ে না থাকে )করে দাও ।
     এরপর মনটা দম নেওয়া ছাড়ার উপর রাখ । বহির্জগৎ মনটাকে সরিয়ে এনে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরের শিথিলতা বজায় আছে কি-না । এই অবস্থায় বহির্জগতের কোন শব্দ শুনতে না পাওয়াই ভাল ।এরপর দু’টি ভ্রূর মাঝে দম নেওয়া ও ছাড়ার সময় বাতাসের ঘর্ষণ অনুভব কর । মনে হবে ঠান্ডা বাতাস নাক দিয়ে প্রবেশ করছে এবং গরম বাতাস বেরিয়ে আসছে (১ম  ১ মাস নিয়মিত অভ্যাস করলে  তবেই ব্যাপারটা অনুভব করা সম্ভব)এ অবস্থায় নাকে কোন শব্দ হবে না ।






যোগাসন শুধু শারীরিকভাবে করলেই হবে না, চাই সম্পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি । তাই শবাসন করার সম্য কল্পনা কর পৃথিবীতে নিজে এবং নিজের সত্তা ছাড়া আর কিছুই নেই । নিজেকে ভাসিয়ে দাও মহাশূন্যে বা মহাসমুদ্রে ।এই সময় ভুলে যাও বাস্তব জীবনের  সমস্ত দেনা-পাওনা, সাংসারিক দুশ্চিন্তা । এই আসনের ফলে সবচেয়ে বেশী বিশ্রাম পায় আমাদের ফুসফুস ও হৃদপিন্ড ।
আসন অভ্যাসকারীরা যে কোন আসনের পর শবাসন করা কালীন শারীরিক, মানসিক শান্তি ও শিথিলতা বজায় রেখে আসন অভ্যাস করলে অনেক বেশী উপকৃত হয় । কোন কোন আসনের পর উপুড় (চিত্র দেখ ) হয়েও শবাসন করা যায়। এই ভাবে শবাসন করাকে মকরাসন বলে ।   





উপকারিতাঃ  মাংসপেশীকে শিথিল করে দেওয়ার ফলে এদের কর্মক্ষমতা আরও বেড়ে যায় । শিরার মধ্য ভালভাবে রক্ত সঞ্চালিত হওয়ায় সহজে ক্লান্তি দূর হয় । যাঁরা অধিক রক্তচাপে ভোগেন তাঁদের এই আসন অভ্যাসে বিশেষ উপকার হয় । শিক্ষার্থীরা এই আসন দিনে  ১০/২০ মিঃ অভ্যাস করলে পরীক্ষার সময় অধিক রাত্রি জেগে পড়াশুনায় স্বাস্থ্যহানি হয় না । চাকুরিজীবী ব্যক্তিরা যদি অফিসে টিফিনের অবসরে নিজ নিজ চেয়ারে বসে  ৫/১০ মিঃ শরীরের সমস্ত মাংসপেশী ও স্নায়ুমন্ডলী শিথিল করার পদ্ধতি অভ্যাস করেন, তাহলে একটানা কর্মজনিত ক্লান্তি  ৫/১০ মিনিটের মধ্যে দূর করে নবোদ্যমে বাকী কাজগুলি সুসম্পন্ন করতে পারেন । এছাড়া তাঁরা কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে ১০/১৫ মিঃ শবাসনে বিশ্রাম করে দ্রুত ক্লান্তি দূর করে নতুন কর্মশক্তি লাভ করতে পারেন ঊচ্চ রক্তচাপাক্রান্ত রোগীদের এই আসন বিশেষ প্রয়োজন । কোন আসন অভ্যাসে আমরা যতটা উপকৃত হই, তার চেয়ে বেশি উপকৃত হই  ঐ আসনের পরে শবাসন করে । তাই এই শবাসনকে খুব ভাল করে অনুভব করতে হবে । অনুভব করতে পারলে এর মধ্য দিয়েই ঐশ্বরিক আনন্দ পাওয়া সম্ভব ।

Monday, October 10, 2016

HOME    YOGA    ABOUT    SEO    PHOTO    VIDEO    E-BOOK



                http://www.simplesite.com/builder/pages/preview3.aspx




Yoga



যোগ-ব্যায়াম
সূচীপত্র
   ৩। খাদ্য ও পুষ্টি
             ১)  পদ্মাসন
             ৪)  বকাসন
             ৬)  কুক্কুটাসন
             ৮)  সিদ্ধাসন
             ৯)  পর্বতাসন
            ১১)ভদ্রাসন
            ১২)বজ্রাসন
            ১৪) সিংহাসন
            ১৫) যোগনিদ্রা
            ১৬) গর্ভাসন
            ১৭) গরুড়াসন
            ১৮) বৃক্ষাসন
            ১৯) উৎকটাসন
   ৮। স্বাস্থ্যাসন

            ২০)শবাসন
            ২১) ভুজংগাসন
            ২২) শলভাসন
            ২৩) অর্ধ-শলভাসন
            ২৪) ধনুরাসন
            ২৫) চক্রাসন
            ২৬) পূর্ণ-চক্রাসন
            ২৭) বৃশ্চিকাসন
            ২৮) অর্ধ-চন্দ্রাসন
            ২৯) পদহস্তাসন
            ৩০) ত্রিকোনাসন
            ৩১) শশাংগাসন
            ৩২) উষ্ঠ্রাসন
            ৩৩) পূর্ণ-উষ্ঠ্রাসন
            ৩৪) অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন
            ৩৫) পূর্ণ-মৎস্যেন্দ্রাসন
            ৩৬) পশ্চিমোত্তানাসন  
            ৩৭) হলাসন
            ৩৮) কর্ণ-পিঠাসন
            ৩৯) ময়ূরাসন
            ৪০) বদ্ধ-ময়ূরাসন
            ৪১) পবনমুক্তাসন
            ৪২) উত্থিত পদাসন
            ৪৩) অর্ধকুর্মাসন
            ৪৪) আকর্ণ-ধনুরাসন
            ৪৫) জানুশিরাসন
            ৪৬) দন্ডায়মান-জানুশিরাসন
            ৪৭) তোলাংগুলাসন
            ৪৮) ব্যাঘ্রাসন
            ৪৯) একপদশিরাসন
            ৫০) ওঁকারাসন  
   ৯। কুলকন্ডলিনী ও ষটচক্র

  ১০। মুদ্রা
            ৫১) যোগমুদ্রা
            ৫২) বিপরীত করণীমুদ্রা
            ৫৩) সর্বাংগাসন
            ৫৪) মৎস্যাসন
            ৫৫) শীর্ষাসন
            ৫৬) উড্ডীয়ান
            ৫৭) নৌলী
            ৫৮) মূলবন্ধমুদ্রা
            ৫৯) জালন্ধরবন্ধ মুদ্রা
            ৬০) মহামুদ্রা
            ৬১) মহাবন্ধ-মুদ্রা
            ৬২) অশ্বীনীমুদ্রা
            ৬৩) শক্তিচালনীমুদ্রা
  ১১ ষট-কর্মণি 
            ৬৪) কপালভাতি
            ৬৫) বাতসার
            ৬৬) অগ্নিসার
            ৬৭) বারিসার
            ৬৮) ত্রাটক
            ৬৯) নাসাপান
            ৭০) বস্তিক্রিয়া
  ১২। প্রাণায়াম
            ৭১) সহজ প্রাণায়াম
            ৭২) নাড়ী শোধন
            ৭৩) লঘু প্রাণায়াম
                 ক) সূর্যভেদ
                 খ) উজ্জায়ী
                 গ) সীৎকারী
                 ঘ) শীতলী
                 ঙ) ভ্রামরী
                 চ) ভ্রমণ প্রাণায়াম
  ১৩। খালিহাতে ব্যায়াম
  ১৪। সূর্যনমস্কার ব্যায়াম
  ১৫। নিজ প্রয়োজন মত ব্যায়াম নির্বাচন
  ১৬। বয়স ও সামর্থ ভেদে ব্যায়াম তালিকা
  ১৭। কৈশর ও যৌবনের ধর্ম
  ১৮। বিশেষ কয়েকটি রোগ ও তার নিরাময়
            ১) কোষ্ঠবদ্ধতা
            ২) আমাশয়
            ৩) ডায়রিয়া
            ৪) অজীর্ণ ও অম্ল
            ৫) সুপ্তিস্খলন
            ৬) রক্তাল্পতা
            ৭) রক্তচাপ (উচ্চ/নিম্ন)
            ৮) ব্রংকাইটিস
            ৯) হাঁপানি
         ১০) বহুমুত্র
         ১১) ব্রণ বা বয়স ফোঁড়া
            ১২)  মরকন্ড (গোঁফদাড়ি না উঠা )
            ১৩) মাথাধরা
            ১৪) পক্ষাঘাত
            ১৫) স্থূলতা
            ১৬) কৃশতা
            ১৭) অর্শ           
            ১৮) স্নায়ুবিক দুর্বলতা
            ১৯) পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষত
            ২০) বাতরোগ
            ২১) হার্ণিয়া
            ২২) হৃদরোগ
            ২৩) স্পন্ডিলাইটিস
  ১৯। বিভিন্ন রোগ ও তাদের নিরাময়ের বিভিন্ন ব্যায়াম